দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংজ্ঞায় বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। এখন থেকে ৫ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেটকে ব্রডব্যান্ড হিসেবে গণ্য করা হবে না। পরিবর্তে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, তারা যেন অন্তত ১২ থেকে ১৫ এমবিপিএস গতি নিশ্চিত করে।
সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, “সোজা কথায়, ৫ এমবিপিএসকে ব্রডব্যান্ড বলা যায় না।” এ সময় তিনি দেশের ইন্টারনেট সেবার মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তা উন্নয়নে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের ইন্টারনেট খাত ভারতনির্ভর ছিল এবং অনেক প্রতিষ্ঠান অবৈধ পথে বিদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানি করত। এ অবস্থার পরিবর্তনে সরকার এখন অন্তত ৫০ শতাংশ সংযোগ নিজস্ব সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা জারি করেছে।
আরও পড়ুন
সেবার মান পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-র সঙ্গে যৌথভাবে ‘কী পারফরমেন্স ইন্ডিকেটর’ (কেপিআই) চালুর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যেসব প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের সেবা দেবে, তাদের জরিমানা করা হবে।”
টেলিযোগাযোগ খাতে বিদ্যমান অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “একটি গোষ্ঠী বছরের পর বছর স্বল্প বিনিয়োগে লাইসেন্স নিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে।” এই ধরনের সিন্ডিকেট ভাঙতে একটি নতুন টেলিযোগাযোগ নীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানান ফয়েজ আহমদ।
তিনি বলেন, নতুন নীতির লক্ষ্য হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং একটি দক্ষ, স্বচ্ছ ও টেকসই ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরি করা। একইসঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধানে পৃথক শ্বেতপত্র কমিটি গঠনের কথাও জানান তিনি।