বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত আমিরাত অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম। সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ফর্ম খুব বেশি আশাব্যঞ্জক না হলেও, আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের ১৫ নম্বরে থাকা সহযোগী সদস্য দেশ আমিরাতের কাছে পরাজয় অনেকের কাছেই ছিল অপ্রত্যাশিত। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে সব হিসাব-নিকাশ উল্টে দিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিক আমিরাত।
টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে হারানোর পর সিরিজ জয় আমিরাত ক্রিকেটের জন্য ঐতিহাসিক এক অর্জন। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক ওয়াসিম নিজের দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও প্রতিপক্ষ বাংলাদেশকে দুর্ভাগা বলতেও ভোলেননি। তিনটি ম্যাচেই বাংলাদেশ টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে বাধ্য হয়, যা শারজাহর কন্ডিশনে প্রতিকূল ছিল বলে মনে করেন তিনি।
গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়াসিম বলেন, “শারজাহর কন্ডিশনে দ্বিতীয় ইনিংসে বল করা সত্যিই কঠিন। বাংলাদেশ ভালো খেলেছে, তারা টেস্ট খেলুড়ে দেশ এবং দক্ষ দল। কিন্তু তারা প্রতিটি ম্যাচেই টসে হেরেছে, এবং প্রতিবারই দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করতে হয়েছে—এটা অবশ্যই একটা বড় ফ্যাক্টর।” তিনি আরও বলেন, “আমরা সহযোগী দেশ হয়েও নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করেছি।”
আরও পড়ুন
সিরিজে প্রথম ম্যাচে হারলেও পরের দুই ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় আমিরাত। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় সিরিজের শুরুটা ভাল না হলেও শেষ দুই ম্যাচে ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। এই সিরিজ জয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের উপস্থিতি জোরালোভাবেই জানান দিল আমিরাত।
সিরিজ জয়ের পর ওয়াসিম বলেন, “সবচেয়ে আগে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা। এটা চ্যালেঞ্জিং সিরিজ ছিল আমাদের জন্য। টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে জয় সহজ নয়। তবে আমাদের দলের সবাই অসাধারণ পারফর্ম করেছে। সবাই মিলে যেভাবে খেলেছে, সেটা দারুণ।”
সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে নিজেদের পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেন তিনি। তার ভাষায়, “ড্রেসিংরুমে আমরা আলোচনা করছিলাম যে, পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো। এমন কন্ডিশনে ২০০ রানও কখনো কখনো ১৮০ হয়ে যায়। আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল ১৬০ রান তাড়া করা সম্ভব। আলিশান ও আসিফ দুর্দান্তভাবে দায়িত্ব পালন করেছে।”