মালয়েশিয়ায় নথি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে ওই শিক্ষার্থীর আটকের বিষয়টি জানিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুয়ালালামপুরের চৌকিত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই বাংলাদেশিকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুয়ালালামপুরের চৌকিত এলাকায় গোয়েন্দা ও বিশেষ অভিযান বিভাগ, ইমিগ্রেশন হেডকোয়ার্টার পুত্রজায়ার বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের একটি দল নিয়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ওই বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। তবে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, আটকের আগে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়। তদন্তে দেখা যায়, একটি সিন্ডিকেট গত তিন মাস ধরে নথি জালিয়াতির কাজ করছিল। তারা বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা বিদেশি কর্মীদের জাল পাসপোর্ট ও ভিসা সরবরাহ করে আসছিল।
আরও পড়ুন
সিন্ডিকেটটি কর্মীদের মেডিকেল (ফোমেমা) নথি পেতে পাসপোর্ট ব্যবহার করেছে এবং প্রতিটি পাসপোর্টের জন্য ১০০ থেকে ১৫০ রিঙ্গিত করে আদায় করেছে। এভাবে তারা প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ কপি পাসপোর্ট তৈরি করে আসছিল।
অভিযানে একটি ল্যাপটপ, একটি প্রিন্টিং মেশিন, ৪৫টি ভুয়া পাসপোর্ট, বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও নেপালের ১০২টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ই-ভিসার নয়টি জাল কাগজপত্র, চারটি মেডিকেল (ফোমেমা) ফরম, ছাপানো কাগজপত্র এবং ভুয়া কাগজপত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম রয়েছে।
ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৪ এর অধীনে অধিকতর তদন্তের জন্য সন্দেহভাজন ওই বাংলাদেশিকে পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে তদন্তে সহায়তা করার জন্য স্থানীয় এক ব্যক্তিকে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে।