ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় জমি বন্ধক, গরু বিক্রি ও ঋণের টাকায় সৌদি আরব গিয়েছিলেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বৈরাটি গ্রামের যুবক মো. ইয়াছিন মিয়া (২৪)। স্বপ্ন ছিল ভালো কাজের ও আকামা পাওয়ার। কিন্তু সবকিছুই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। স্থানীয় দালালের প্রতারণায় ট্যুরিস্ট ভিসায় সৌদি পাঠানো হয় তাকে।
দেশে পৌঁছার পর ইয়াছিনকে তিন মাস একটি ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। এরপর পরিবারের কাছ থেকে মুক্তির নামে একাধিকবার অর্থ আদায় করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও কোনো কাজের ব্যবস্থা হয়নি। বর্তমানে সৌদিতে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন ইয়াছিন, আর দেশে তার পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
ইয়াছিনের বাবা মো. নূরুল ইসলাম জানান, ছেলে যেন ভালোভাবে বাঁচতে পারে সেই আশায় প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা দেন দালাল সুমন মিয়াকে। কিন্তু সবই প্রতারণা ছিল। এখন তারা ঋণের ভারে এবং ছেলের দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন অভুক্ত অবস্থায়।
আরও পড়ুন
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইয়াছিনের মা পারভীন আক্তার ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাতে দালাল সুমন মিয়া ও তার স্ত্রীসহ চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এই গ্রামের আরও কয়েকজন একইভাবে প্রতারিত হয়েছেন।
থানার ওসি ওবায়দুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা রহমান জানান, জনগণকে দালালের হাত থেকে সচেতন করতে নিয়মিত সভা ও প্রচারণা চালানো হয়। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।