সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০২৫ সালের জুন থেকে ওমরাহ ভিসা প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। এখন থেকে ‘নুসুক মাসার’ অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ভিসা আবেদনের পূর্বেই আবাসন ও পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে ওমরাহযাত্রীদের সেবার মান উন্নত হবে, যাত্রায় শৃঙ্খলা আসবে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা এড়ানো যাবে।
তবে বাস্তব অভিজ্ঞতা বলছে, নতুন নিয়মে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মুসল্লিদের জন্য ওমরাহ পালন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আগে যারা আত্মীয়স্বজনের বাসায় থেকে বা স্থানীয় পরিবহন ব্যবহার করে খরচ বাঁচাতেন, তাদের জন্য অতিরিক্ত খরচ এখন বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আসা অনেক যাত্রী জানিয়েছেন, ভিসা পেতে হলে আগে থেকেই হোটেল ও পরিবহন বাবদ অর্থ জমা দিতে হচ্ছে।
হজ ও ওমরাহ এজেন্সির কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন ব্যবস্থায় সেবার মান নিঃসন্দেহে উন্নত হয়েছে। নির্ধারিত পরিবহনে মুসল্লিদের হোটেলে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, যা ভোগান্তি কমিয়েছে। তবে একই সঙ্গে খরচ দ্বিগুণ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী। অনুমোদনবিহীন সস্তা হোটেলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আবাসনের খরচ বেড়েছে, আর সীমিত অনুমোদিত হোটেলগুলোর একাংশ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন
সরকার বলছে, কেন্দ্রীয়ভাবে বুকিং ব্যবস্থাপনার ফলে ভুয়া এজেন্ট ও অতিরিক্ত চার্জ নেওয়ার প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে এবং পুরো ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্ব এসেছে। তবে অনেকে বলছেন, খরচের এই অতিরিক্ত চাপ ধর্মপ্রাণ নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের উচিত ওমরাহ ভিসার জন্য বিভিন্ন আর্থিক সক্ষমতার ভিত্তিতে প্যাকেজ চালু করা, যাতে সব শ্রেণির মুসল্লি এই গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুশীলনে অংশ নিতে পারেন।