সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে এক ব্যক্তিকে ঘরের পোশাক ‘নাইট থোব’ পরে রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সাধারণত এই পোশাক ঘুমানোর সময় ব্যবহার করা হলেও জনসমক্ষে পরিধান করাকে দেশটির পাবলিক ডিসেন্সি আইন অনুযায়ী শালীনতাবিরোধী আচরণ হিসেবে গণ্য করা হয়।
এই আইনের ৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, এমন কোনো পোশাক পরা যাবে না যা জনসমক্ষে অশালীন বা সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী বার্তা বহন করে। প্রথমবার এ ধরনের অপরাধের জন্য ৫ হাজার সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে। আর পুনরাবৃত্তিতে জরিমানার পরিমাণ দ্বিগুণ হতে পারে বলে ৮ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে। খোবারসহ বিভিন্ন শহরে তাৎক্ষণিকভাবে ১০০ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা আদায়ের নজিরও রয়েছে।
ভিডিওটির আরেক অংশে সৌদি পুলিশ একটি গাড়িতে অভিযান চালিয়ে আসন ও নিচের অংশে লুকিয়ে রাখা অবৈধ মাদক উদ্ধার করে। দেশটির প্রশাসন মাদক চোরাচালান ও বিপণনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে কঠোর অবস্থান নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
আরও পড়ুন
একই ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করছেন। সৌদি আইনে রাস্তাঘাটে বা জনসমক্ষে ভিক্ষাবৃত্তি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। আর সংঘবদ্ধ ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত থাকলে শাস্তির পরিমাণ এক বছর কারাদণ্ড এবং এক লাখ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানায় পৌঁছাতে পারে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। ভিক্ষাবৃত্তি বা অশালীন পোশাক পরিধানের মতো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় দেশব্যাপী অভিযান অব্যাহত থাকবে।