আফ্রিকার শীর্ষ ধনীর দাফন সৌদি আরবে

Africa's richest man buried in saudi arabia

আফ্রিকার অন্যতম ধনী ও নাইজেরিয়ার খ্যাতনামা ব্যবসায়ী আমিনু দন্তাতা আর নেই। শনিবার (২৯ জুন) সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৯৪ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর সময় তিনি তিন স্ত্রী, ২১ সন্তান ও ১২১ জন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তার দাফন সম্পন্ন হবে ইসলামের পবিত্র শহর মদিনায়, যেখানে তিনি দাফনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার মরদেহ ইতোমধ্যে আবুধাবি থেকে মদিনায় স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং সৌদি কর্তৃপক্ষ দাফনের অনুমতি দিয়েছে। নাইজেরিয়ার তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ ইদ্রিস জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দাফন সম্পন্ন হবে এবং এই প্রক্রিয়ায় দন্তাতার পরিবার ও নাইজেরিয়ান দূতাবাস একযোগে কাজ করছে।

দন্তাতা ছিলেন বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি আলিকো ড্যাংগোটের চাচা এবং নিজেও একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী। তার ব্যবসা বিস্তৃত ছিল কৃষি, নির্মাণ, রিয়েল এস্টেট ও উৎপাদন খাতে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে ব্যবসায় প্রবেশ করে তিনি নিজের দক্ষতায় পারিবারিক ব্যবসার হাল ধরেন। দানশীলতা ও জনসেবায় অনন্য ভূমিকার জন্যও তিনি দেশজুড়ে পরিচিত ছিলেন।

নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, “এই মৃত্যু জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। দন্তাতা ছিলেন দেশের অগ্রগতির স্থপতি, যিনি ব্যবসা ও সমাজসেবায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।” গত বছর বন্যার্তদের জন্য তিনি প্রায় ১৫০ কোটি নাইরা দান করেছিলেন, যা তার উদারতার বড় প্রমাণ।

চমকপ্রদ বিষয় হলো, বিপুল সম্পদের মালিক হয়েও আমিনু দন্তাতা তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বসবাস করেছেন জন্মস্থান কানো শহরের একটি দরিদ্র এলাকায়। রাজনৈতিকভাবেও তার ছিল বিশেষ প্রভাব। নির্বাচনের সময় নেতারা তার দোয়া নিতে ছুটে যেতেন। তার জানাজায় অংশ নিতে ইতোমধ্যেই নাইজেরিয়ার কয়েকজন রাজ্যপাল ও মন্ত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

আরও দেখুন:

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

City 2025