সৌদি আরবের সরকার সাধারণত হজের মৌসুমে নথিপত্রহীন মুসল্লিদের প্রতি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করলেও, চলতি বছর তারা কিছুটা নমনীয়তার পরিচয় দিয়েছে। রিয়াদ ইঙ্গিত দিয়েছে, এবার যারা হজভিসা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া হজে আসবেন, তাদের প্রতি শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পরিবর্তে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা হবে।
সৌদির উপকূলীয় শহর জেদ্দার নগরপ্রশাসনের মুখপাত্র মোহাম্মেদ আল বাকমি দেশটির সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘আল এখবারিয়া’-কে জানিয়েছেন, হজের জন্য যেসব মুসল্লি বৈধ ভিসা ও নথিপত্র ছাড়াই সৌদি আরবে প্রবেশ করেছেন, তাদেরকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে। আইনি প্রক্রিয়া শুরু না হওয়া পর্যন্ত এসব ব্যক্তিরা এসব কেন্দ্রে অবস্থান করতে পারবেন।
আরও পড়ুন
প্রতিবছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লাখ লাখ মুসলমান হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে সমবেত হন। হজ ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম এবং সামর্থ্যবান মুসলিমদের জন্য এটি ফরজ। তবে কিছু হজযাত্রী বৈধ হজভিসা ছাড়াই হজ পালনে সৌদিতে প্রবেশ করেন, ফলে তারা সৌদি সরকারের আনুষ্ঠানিক সেবা যেমন আবাসন, পরিবহন ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত থাকেন।
২০২৪ সালে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া হজ করতে যাওয়া হাজার হাজার মুসল্লির মৃত্যু ঘটে প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে। নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন অননুমোদিত হজযাত্রী। এই ঘটনা সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি করে।
সমালোচনার প্রেক্ষাপটে সৌদি সরকার এবার তাদের অবস্থান কিছুটা নমনীয় করেছে। গালফ নিউজ সূত্রে জানা গেছে, সরকারের এই পদক্ষেপ একদিকে যেমন মানবিক, অন্যদিকে হজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা রক্ষায় নতুন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।