২য় হিজরী সনে ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহা বিধিবদ্ধ হয়। ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শারঈ তরীকায় যে পশু যবহ করা হয়, তাকে ‘কুরবানী’ বলা হয়। সকালের রক্তিম সূর্য উপরে ওঠার সময়ে ‘কুরবানী’ করা হয় বিধায় এই দিনটিকে ‘ইয়াওমুল আযহা’ বলা হয়ে থাকে।
ইসলামের অন্যতম তাৎপর্যমণ্ডিত ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত কোরবানি। এতে আছে আত্মত্যাগের ঐতিহাসিক মহিমা। কোরবানি শুরু হয়েছিল হযরত আদম (আ.)-এর দুই ছেলে হাবিল ও কাবিল থেকে। পরবর্তীতে কোরবানির জন্য হযরত ইবরাহিম (আ.) ও তার শিশুপুত্র ইসমাইল (আ.)-এর আত্মবিসর্জন কিয়ামত পর্যন্ত প্রতিটি মুমিনের জন্য অনন্য শিক্ষা ও প্রভুপ্রেমের পাথেয়।
মহান আল্লাহর নামে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পশু জবাই করার নাম কোরবানি। পশু জবাই না করে এর মূল্য গরিবদের মধ্যে বণ্টন করলে কোরবানি আদায় হবে না। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন,
আরও পড়ুন
‘বলো, আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন-মরণ সমস্ত সৃষ্টি জগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই নিবেদিত।’ (সুরা আন‘আম: ১৬২)
কুরবানী সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। এটি যাকাত ফরয হওয়ার সাথে সম্পর্কিত নয়। তবে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানী না করলে রাসূল (ছাঃ) তাদেরকে ঈদগাহে যেতে নিষেধ করেছেন (ইবনু মাজাহ হা/৩১২৩; হাকেম হা/৩৪৬৮; ছহীহ আত-তারগীব হা/১০৮৭)। এটা ওয়াজিব নয় যে, যেকোন মূল্যে কোরবানি দিতেই হবে। লোকেরা যাতে এটাকে ওয়াজিব মনে না করে, সেজন্য সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হযরত আবুবকর ছিদ্দীক্ব (রাঃ) ও ওমর ফারূক (রাঃ) অনেক সময় কুরবানী করতেন না (বায়হাক্বী, মা‘রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার হা/১৮৮৯৩, সনদ হাসান; মাসায়েলে কুরবানী ৭ পৃ.)।