২০২৫ সালের হজ কাফেলায় অংশ নিতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের জন্য স্বাস্থ্য যাচাই প্রক্রিয়া প্রাক-নিবন্ধনের আগেই সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। চলতি বছর হজ পালনে গিয়ে সৌদি আরবে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন ৮৭ হাজার হজযাত্রীর মধ্যে প্রায় ৬৯ হাজার বাংলাদেশি। এসব হাজির অনেকে হজের প্রস্তুতির আগেই জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
এক ষাটোর্ধ্ব হজযাত্রী রিনা আনোয়ার হজ পালনের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে কিং ফাহাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি বিনামূল্যে চিকিৎসা পান। হজের সময় প্রচণ্ড ভিড়, গরম ও শারীরিক পরিশ্রমের কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ বছর সৌদি আরবে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন ৩২৪ জন বাংলাদেশি হাজি।
এই পরিস্থিতি সৌদি কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে স্বাস্থ্য বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, আগামী বছর থেকে হজযাত্রীদের জন্য সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের ফিটনেস সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হবে।
আরও পড়ুন
হাব মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, এত বিপুল সংখ্যক অসুস্থ হজযাত্রীর চিকিৎসা ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়ছে, বিশেষ করে মিনা, মুজদালিফা ও আরাফার মতো পবিত্র স্থানগুলোতে। তাই সৌদি আরব চায়, গুরুতর অসুস্থরা যেন হজে অংশ না নেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে। হজ ফিটনেস সার্টিফিকেট নেওয়া যাবে সিভিল সার্জন বা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম জানান, এমন অনেকে হজে গেছেন যাদের সৌদিতেই নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে ৪২ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন এবং আরও ২২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।