বুধবার (৪ জুন) থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। দেশটির হজমন্ত্রী তাওফিক আল রাবিয়া জানিয়েছেন, এবছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে অন্তত ১০ লাখ হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন দেশটির স্থানীয় হজ পালনকারীরাও।
মক্কায় প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ইহরাম বাঁধা অবস্থায় হাজীরা আজ সমবেত হচ্ছেন মিনার তাঁবু নগরীতে। এখানে দিন ও রাত কাটিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থাকবেন তারা। এরপর বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ফজরের পর শুরু হবে পবিত্র আরাফাতের ময়দানের দিকে যাত্রা, যা হজের মূল ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আরাফার উদ্দেশে যাত্রার সময় হাজীদের মুখে থাকবে ঐতিহাসিক লাব্বাইক ধ্বনি, যা আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আনুগত্য ও আত্মসমর্পণের প্রতীক।
আরও পড়ুন
আরাফাতের ময়দানেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজে দাঁড়িয়ে মানবতার বাণীসমৃদ্ধ ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই ঐতিহাসিক স্মৃতিকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মুসলিম এই দিনটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করে থাকেন। এ বছর আরাফাত দিবস পড়েছে বৃহস্পতিবার, ৫ জুন। এই দিনকে হজের মূল দিন হিসেবে গণ্য করা হয় এবং বিশ্বজুড়ে বহু মুসলিম রোজা পালন করে থাকেন।
আরাফাতের দিন পরবর্তী দিন ৬ জুন সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা। হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঈদুল আযহার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হবে এই মহান ইবাদত।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর হজে অংশ নিয়েছিলেন অন্তত ১৮ লাখ মানুষ। সে সময় তীব্র গরমে তাপমাত্রা ৫১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায় এবং কমপক্ষে ১,৩০০ হাজী প্রাণ হারান। এবছরও হজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন সময়ে, ফলে হাজীদের শরীরিক নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি নিয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।