ওমানের বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রাক্তন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দূতাবাসে আসা সেবাপ্রত্যাশীদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার, বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাটের পরিচালনা পর্ষদে অবৈধ হস্তক্ষেপ, দূতাবাসকে দলীয়করণ, হাসিনা বিরোধীদের দমন-নিপীড়নসহ গুরুতর সব অভিযোগ এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মুখ খুলতে শুরু করেছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের মধ্যে একজন ডা. সাজ্জাদ চৌধুরী। মাস্কাটের বাংলাদেশ স্কুলের সাবেক এই চেয়ারম্যান ওমানে কাজ করেছেন চিকিৎসক হিসেবে। বলছেন, মাস্কাট দূতাবাসকে আওয়ামীলীগের অফিস বানানো হয়েছিলো। তাদের রোষানলে পড়েই বিনা অপরাধে হাজত খাটতে হয়েছে তাকে।
আরও পড়ুন
শুধু তাই নয়, স্কুলের দায়িত্ব নেওয়ার পর আধিপত্য হারানোর জেদে দূতাবাসের সে সময়কার কাউন্সেলর নাহিদ ইসলামসহ কয়েকজন কর্মকর্তা তাকে জামাতি ও দেশদ্রোহী প্রমাণ করার চেষ্টা চালায়।
এই চিকিৎসকের দাবী, একজন সমপর্যায়ের কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন কাউন্সেলর নাহিদ।
অভিযুক্ত নাহিদ ইসলাম এখন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব। আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি কোনো কর্মকর্তার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। তবে তিনি এও বলছেন, স্কুলের দেখভালে সরাসরি হস্তক্ষেপ ছিলো তখনকার রাষ্ট্রদূতের। এ বিষয়ে শুধুমাত্র তিনি নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন।