ওমানের শ্রম আইনের ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনো নিয়োগকর্তা প্রবাসীর পাসপোর্ট বা ব্যক্তিগত কাগজপত্র লিখিত সম্মতি ছাড়া নিজের কাছে রাখতে পারবে না। এই বিধান স্পষ্টভাবে প্রবাসীদের অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
টাইমস অব ওমানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ ইব্রাহিম ল’ ফার্মের প্রতিষ্ঠাতা ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিম আল জাদজালি জানান, লিখিত সম্মতি ছাড়া পাসপোর্ট রাখা হলে তা অবৈধ বলেই বিবেচিত হবে। মৌখিক অনুমতি, জবরদস্তি কিংবা চুক্তিতে এ ধরনের শর্ত রাখাও আইনের লঙ্ঘন।
এই আইন প্রবাসীদের চলাফেরার স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। তারা চাইলে চুক্তি শেষ হলে দেশে ফিরতে পারবেন, আর যদি কাজের পরিবেশ খারাপ হয়, তাহলে আইনের সাহায্যে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন।
আরও পড়ুন
আইনের ১৪৭ ধারায় বলা হয়েছে, প্রবাসীর পাসপোর্ট অবৈধভাবে জব্দ করলে নিয়োগকর্তাকে প্রতি ঘটনায় ৫০০ থেকে ১,০০০ ওমানি রিয়াল জরিমানা করা হবে। একই অপরাধ পুনরায় ঘটালে দ্বিগুণ জরিমানা দিতে হবে।
এই বিধান ওমানে কর্মরত প্রবাসীদের অধিকার রক্ষা এবং সম্ভাব্য শোষণ রোধে কার্যকর এক আইনি অস্ত্র।