ওমান এয়ারপোর্টস আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোকে সরাসরি ফ্লাইট চালুর জন্য আকৃষ্ট করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। ইউরোপ, চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইনের সঙ্গে বর্তমানে আলোচনা চলছে।
ওমান এয়ারপোর্টসের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ বিন সাঈদ আল আমরির ভাষ্যমতে, রাজস্ব বৃদ্ধি, পরিচালনাগত সক্ষমতা উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে ওমানের অবস্থান শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে ইউরোপের বাজেট এয়ারলাইন্স উইজ এয়ারের সঙ্গে বুদাপেস্টসহ ইউরোপের অন্যান্য শহর থেকে ওমানে সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে অগ্রসর পর্যায়ের আলোচনা চলছে। প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত এই রুট চালু করতে আগ্রহী বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন
একইসঙ্গে, চীনের সাংহাই ও গুয়াংজু শহর থেকে মাস্কাটে সরাসরি ফ্লাইট চালুর জন্য চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এই বিষয়ে ওমানে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের সহায়তায় প্রণোদনা ও প্রচার প্যাকেজও প্রদান করা হচ্ছে।
পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ’কে মাস্কাটের সঙ্গে যুক্ত করতে এলওটি পোলিশ এয়ারলাইন্সের সঙ্গে একযোগে কাজ চলছে। এই রুট চূড়ান্ত করতে ওমান ও পোল্যান্ডের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে।
এছাড়া, ওমান এয়ারের সহযোগিতায় ভিয়েতনামের বাজার বিশ্লেষণ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সম্ভাবনাও যাচাই করা হচ্ছে।
সালালাহ বিমানবন্দরে এ বছর অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বৃদ্ধি এবং জিসিসি দেশগুলোর যাত্রীদের আগ্রহে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। শীতকালে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ ও বেলারুশ থেকেও সরাসরি ফ্লাইট এসেছে।
অন্যদিকে, মাস্কাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোভিড-পূর্ব সময়ের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে, যদিও ওমান এয়ারের বহরে হ্রাস ও ফ্লাইট কমায় ট্রানজিট যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে।
আল আমরি জানান, রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব জোরদার করা হয়েছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্টের সঙ্গে কৌশলগত চুক্তি এবং মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে, যা মাস্কাট বিমানবন্দরের জমি ব্যবহার করে বিনিয়োগের নতুন সুযোগ তৈরি করবে।