চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার এক হৃদয়বিদারক ঘটনায়, প্রবাসে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন মো. রাব্বি (২৭) নামের এক যুবক। পরিবার দাবি করছে, এটি আত্মহত্যা নয়—বরং পরিকল্পিত হত্যা। নিহত রাব্বির বাবা মিজানুর রহমান কালু বলেন, “যার আশ্রয়ে ছেলেকে পাঠিয়েছিলাম, তারাই আজ ঘাতক। ছেলেকে জীবিত নয়, লাশ হয়ে ফেরত আনতে হলো। আমি ছেলের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই।”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে মামা শ্বশুর জহির হোসেনের দেওয়া ভিসায় ওমান যান রাব্বি। সেখানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। গত ৬ জুলাই সেখানে তাঁর মৃত্যু ঘটে। মরদেহ দেশে পৌঁছে ১৩ জুলাই বিকেলে স্বজনেরা থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দাফনের ব্যবস্থা করেন। পরিবার বলছে, তারা আইনের আশ্রয় নেবেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, রাব্বি তিন বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন একই গ্রামের মুদি দোকানি বাবুল মিয়ার মেয়ে নুপুর আক্তার ভাবনাকে। তাঁদের একটি ১০ মাস বয়সী সন্তান রয়েছে। কিন্তু প্রবাসে যাওয়ার পর থেকেই পারিবারিক কলহ দেখা দেয় এবং রাব্বির ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। স্বজনদের দাবি, মামা শ্বশুর জহির ও তার লোকজন একাধিকবার রাব্বিকে মারধর করেছেন।
আরও পড়ুন
রাব্বির বাবা অভিযোগ করেন, ৩ জুলাই ছেলেকে মারধর করে জহির। বিষয়টি জানানো হলে স্থানীয় কফিল বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন। এরপর ৬ জুলাই সকালে কৌশলে পুত্রবধূ নুপুরকে সরিয়ে নেওয়া হয়, এবং একই দিনে জানানো হয় রাব্বির ‘আত্মহত্যার’ খবর। এতে পরিবারের সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়।
রাব্বির মামা শ্বশুর শরীফুল ইসলাম দাবি করেছেন, ওমানে রাব্বির আত্মহত্যার খবর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সেলিম জিতু বলেন, রাব্বির মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক, এবং প্রকৃত কারণ উদঘাটনে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন—তিনি এ ব্যাপারে সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।