একাধিক দেশের উপরে ওমানের ভিসায় বিধিনিষেধ সত্ত্বেও দেশটিতে প্রবাসীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত দেশটির মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ লাখ ৩ হাজার ৫৭৮ জনে। এর মধ্যে প্রায় ৪৩.৩১ শতাংশ—অর্থাৎ ২২ লাখ ৯৭ হাজার ১৯১ জনই প্রবাসী। বাকি ৫৬.৬৯ শতাংশ বা ৩০ লাখ ৬ হাজার ৩৮৭ জন ওমানি নাগরিক। হিসেব বলছে, চলতি বছরের পাঁচ মাসে প্রবাসীদের সংখ্যা বেড়েছে ১৩ হাজার ৯১২ জন।
এদিকে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওমানের জনসংখ্যা ২০২৫ সালের মধ্যে ৫.৫ মিলিয়নে পৌঁছাবে। তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো—এই জনসংখ্যার বড় অংশই তরুণ, যা দেশটির অগ্রগতির জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওমানের ২৪ শতাংশ জনসংখ্যা ১৫ বছরের নিচে এবং ২১শতাংশ রয়েছে ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে। সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো—৭৩ শতাংশ মানুষই কর্মক্ষম বয়সের মধ্যে, যাদের বয়স ১৫–৬৪ বছর। বিষয়টিকে ওমানের জন্য এক বিশাল ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ বা জনসংখ্যাগত সুবিধা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তরুণ ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী দেশের অর্থনীতি, উদ্ভাবন এবং সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে— তবে এজন্য যথাযথ বিনিয়োগ ও সঠিক নীতিনির্ধারণ প্রয়োজন।