মরুর দেশ ওমানের কৃষিক্ষেত্রে নতুন এক সম্ভাবনার নাম হয়ে উঠছে লাল আম। প্রচলিত খেজুর, লেবু ও টমেটোর পাশাপাশি এখন ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছে সুস্বাদু ও উচ্চমূল্যের এই ফলটি। স্থানীয় কৃষকদের চেষ্টায় দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে পরীক্ষামূলকভাবে লাল আমের চাষ শুরু হয়েছে, যার ইতিবাচক ফলাফলও পাওয়া গেছে। জাপানি ভাষায় আমটিকে বলা হয় ‘মিয়াজাকি’। বিশ্ববাজারে এটি ‘রেড ম্যাঙ্গো’ বা ‘এগ অব দ্য সান’ নামেও পরিচিত।
ওমানের নিজওয়া, সোহার ও সালালাহ অঞ্চলে সীমিত আকারে চাষ শুরু হলেও, এখন আরও ব্যাপকভাবে এটি বাণিজ্যিক উৎপাদনের দিকে এগোচ্ছে। শুষ্ক জলবায়ুতে পানির সঠিক ব্যবহার এবং আধুনিক চাষপদ্ধতির ফলে গাছের ফলন ভালো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। এই আমের গড়ন সাধারণ আমের চাইতে বড় ও লম্বা, স্বাদে মিষ্টি এবং আমের বাইরের আবরণ দেখতে গাঢ় লাল অথবা লাল-বেগুনির মিশ্রণে একটি রঙের।
কৃষকরা বলছেন, লাল আমের বাজারমূল্য তুলনামূলক বেশি হওয়ায় এ চাষে তারা লাভবান হচ্ছেন। স্থানীয় বাজার ছাড়াও উপসাগরীয় অন্যান্য দেশে রপ্তানির সুযোগ থাকায় এই চাষের পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। সরকারের তরফ থেকেও প্রয়োজনীয় সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।
আরও পড়ুন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মরুপ্রবণ অঞ্চলেও যদি পরিকল্পিতভাবে উন্নত জাতের ফলের চাষ সম্ভব হয়, তবে তা শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়, বরং কৃষির টেকসই ভবিষ্যতের পথও তৈরি করবে। লাল আম তার বাস্তব উদাহরণ হতে চলেছে।