সরকারি ছুটির সঙ্গে বার্ষিক ছুটি যুক্ত করে লম্বা ছুটি নেওয়ার প্রবণতা কর্মীদের মধ্যে সাধারণ। তবে এই অনুরোধ মঞ্জুর করবেন কি না, তা নির্ভর করে নিয়োগকর্তার সিদ্ধান্ত, কোম্পানির অভ্যন্তরীণ নীতিমালা এবং প্রচলিত আইনের উপর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ওমানের শীর্ষস্থানীয় আইন সংস্থা মোহাম্মদ ইব্রাহিম ল’ ফার্ম।
আইন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিম আল জাদজালি জানিয়েছেন, ওমানের শ্রম আইন অনুযায়ী (ধারা ৭৮), প্রতি বছর কর্মীরা ৩০ দিনের বার্ষিক ছুটি পাওয়ার অধিকার রাখেন। তবে ছুটির সময় নির্ধারণে ‘কর্মক্ষেত্রের স্বার্থ’ বিবেচনায় নিতে হবে, যা নিয়োগকর্তাকে ছুটি মঞ্জুর বা বাতিলের সুযোগ দেয়।
তিনি আরও বলেন, ধারা ৭৯ অনুযায়ী, সরকারি ছুটি এবং বার্ষিক ছুটি আলাদা সুবিধা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। আইনে সরকারি ছুটিকে বেতনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, আর বার্ষিক ছুটির সময় নির্ধারণ করতে হবে কর্মী ও নিয়োগকর্তার পারস্পরিক সমঝোতায়।
আরও পড়ুন
মোহাম্মদ ইব্রাহিম ল’ ফার্মের আরেক মুখপাত্র জানান, ধারা ৮১ অনুযায়ী, বার্ষিক ছুটিকে খণ্ডিত করে প্রদান করা যায় এবং ব্যবসার প্রয়োজনে ছয় মাস পর্যন্ত স্থগিত রাখা সম্ভব। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কর্মরতদের কারণে অপারেশনাল কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটলে ছুটি মঞ্জুর না করাটাও বৈধ।
আইনের ৩ নম্বর ধারা বলছে, কোম্পানি ন্যূনতম আইনি সুবিধা দিতে বাধ্য, তবে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যদি না তা চুক্তিতে উল্লেখ থাকে। ফলে নিয়োগকর্তা যদি অভ্যন্তরীণ নীতিমালায় সরকারি ছুটির সঙ্গে বার্ষিক ছুটি যোগ করার অনুমতি না দেন, তাহলে সেই অনুরোধ মেনে নেওয়ার আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি ছুটির সঙ্গে বার্ষিক ছুটি যোগ করায় সরাসরি কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও এটি নির্ভর করে নিয়োগকর্তার অনুমতি, ব্যবসার প্রয়োজন এবং কর্মচুক্তির শর্তাবলির ওপর। আইনগত জটিলতা এড়াতে কোম্পানিগুলোকে স্পষ্ট ছুটির নীতি মেনে চলা এবং তা কর্মীদের কাছে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।