তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঠেকাতে যেন উদ্ধারকর্তা হয়ে এগিয়ে এলো উপসাগরীয় দেশ ওমান। ইরানের পরমাণু বোমা তৈরি এবং কঠোর হস্তে দেশটিকে শায়েস্তা করার মার্কিনি হুমকির মুখে মধ্যপ্রাচ্যে নজিরবিহীন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। তবে সেই যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মীমাংসার গুরুদায়িত্ব নিয়েছে বিশ্বের অন্যতম শান্তিপূর্ণ দেশ ওমান। আগামী শনিবার দেশটির মধ্যস্থতায় মাস্কাটে পরোক্ষ উচ্চ-স্তরের আলোচনার জন্য মিলিত হবে ইরান ও আমেরিকা। সময়োপযোগী এই ভূমিকার জন্য ইতোমধ্যে কাতারসহ অন্যান্য দেশ ওমানকে অভিবাদন জানিয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই গোটা বিশ্বের নজর এখন ওমানের দিকে। বিষয়টির গুরুত্ব বোঝা গেল মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামের বক্তব্যেও। তিনি দাবি করেছেন, ছয়টি পরমাণু বোমা তৈরির জন্য ইরানের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অস্ত্র-গ্রেড ইউরেনিয়াম রয়েছে। এবং ইরান ছয়টি পারমাণবিক বোমা তৈরির খুব কাছাকাছি। দেশটি ইসরায়েলকেও শেষ করবে এবং মার্কিনিদেরও পিছু নেবে।
এ কারণেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার এক আকস্মিক ঘোষণায় বলেছেন, তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান ‘সরাসরি’ আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত। কঠোর সতর্কতা জানিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, “আলোচনা সফল না হলে ইরান বিরাট বিপদে পড়বে।”
আরও পড়ুন
পরে মঙ্গলবার এক এক্স বার্তায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি শনিবারের বৈঠকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গণমাধ্যমের ভাষ্য, আরাঘচি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে দেখা করবেন। এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ওমানে এবং দেশটি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করবে।