ওমানের মুসান্দাম গভর্নরেটে প্রস্তাবিত অত্যাধুনিক বিমানবন্দরের চূড়ান্ত নকশা সম্পন্ন হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ সংলাপে এই তথ্য জানান মুসান্দামের গভর্নর সাইয়্যিদ ইব্রাহিম বিন সাইদ আল বুসাইদি। একইসাথে তিনি দরপত্র প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় কৌশল গ্রহণের কথাও উল্লেখ করেন। এই নতুন বিমানবন্দরটি নির্মিত হলে তা কেবল স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যই নয়, ওমানে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিকদের জন্যও যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
পূর্বের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুসান্দাম বিমানবন্দর ২০২৮ সালের দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রস্তুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যমান খাসাব বিমানবন্দরের পরিচালনাগত কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে এই নতুন বিমানবন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পটি দুটি প্রধান পর্যায়ে সম্পন্ন করা হবে।
প্রথম পর্যায়ে নির্মিত হবে ৪৫ মিটার প্রশস্ত রানওয়ে, বার্ষিক ২ লক্ষ ৫০ হাজার যাত্রী ধারণক্ষমতার একটি অত্যাধুনিক টার্মিনাল ভবন, একটি বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার (এটিসি), ২ হাজার ৫২০ মিটার দীর্ঘ ও ৪৫ মিটার প্রশস্ত রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে, একটি আধুনিক ফায়ার স্টেশন, সরঞ্জাম মেরামতের কারখানা, মেরিন স্টেশন এবং বিমান পার্কিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত স্থান। এছাড়াও, বিমানবন্দরের সাথে যোগাযোগের জন্য ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি নতুন রাস্তাও নির্মাণ করা হবে। এই উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ওমানে বসবাসকারী প্রবাসীদের জন্য মুসান্দামে যাতায়াতকে আরও সহজ ও সুবিধাজনক করে তুলবে।
আরও পড়ুন
দ্বিতীয় পর্যায়ে, বিমানবন্দরের রানওয়েটি ৩ হাজার ৩০০ মিটার পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হবে। এর ফলে এয়ারবাস ৩৩০ ও ৩৫০ এবং বোয়িং ৭৮৭ ও ৭৭৭ এর মতো বড় আকারের উড়োজাহাজ চলাচল করতে সক্ষম হবে। এছাড়াও, উড়োজাহাজের জন্য ট্যাক্সিওয়ে ও পার্কিং লটের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে এবং টার্মিনাল ভবনের আকারও সম্প্রসারণ করা হবে। এই সম্প্রসারণের ফলে ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক যাত্রী এবং কার্গো পরিবহনের সুবিধা তৈরি হবে, যা ওমানের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এবং প্রবাসীদের ব্যবসার সুযোগ আরও প্রসারিত করবে।
ওমান সরকারের এই পদক্ষেপ দেশটির যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করার পাশাপাশি পর্যটন এবং বাণিজ্যের প্রসারেও সহায়ক হবে। মুসান্দামের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে উন্নত বিমানবন্দর নির্মিত হলে তা প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে আশা করা যায়।