পবিত্র রমজান মাসে প্রবাসী কর্মীদের রোজা পালনে সহায়তা করতে ওমানের শ্রম মন্ত্রণালয় বেসরকারি খাতে কর্মঘণ্টা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, রমজানে প্রতিদিন কর্মঘণ্টা সর্বোচ্চ ৬ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টায় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
এছাড়া নিয়োগকর্তাদের কর্মীদের সুবিধা ও কাজের প্রকৃতি বিবেচনায় নিয়ে অন্যান্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পবিত্র রমজান মাসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মীদের কর্মঘণ্টা কমানো একটি সাধারণ প্রথা। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানবসম্পদ বিভাগ এবং কুয়েত সরকারও কর্মীদের জন্য নতুন অফিস সময়সূচি নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ওমানের এই সিদ্ধান্তও সেই প্রেক্ষাপটে একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ।
ওমানের জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটির প্রধান পর্যবেক্ষক আব্দুল ওয়াহাব আল বুসাইদি জানিয়েছেন, আগামী শনিবার ওমানে রমজান মাস শুরু হতে পারে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন
ওমানের শ্রম মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত শুধু কর্মীদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাই প্রদর্শন করে না, বরং তাদের সুবিধা ও স্বাস্থ্যের প্রতিও বিশেষ নজর দেয়।
রমজান মাসে কর্মীদের কর্মঘণ্টা কমানোর মাধ্যমে তাদের রোজা পালন ও ইবাদত-বন্দেগিতে মনোনিবেশ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই পদক্ষেপ প্রবাসী কর্মীদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সহায়তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ওমানের এই সিদ্ধান্ত রমজান মাসের পবিত্রতা ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি শুধু ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাই নয়, বরং কর্মীদের মানবিক অধিকার ও সুযোগ-সুবিধার প্রতিও একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এই উদ্যোগ মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্যও একটি অনুসরণীয় মডেল হতে পারে।