ওমান সরকার পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন উপলক্ষে আগামী ৩০ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারি ও বেসরকারি সকল চাকরিজীবীর জন্য একদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, কুয়েতে শবে মেরাজ উপলক্ষে তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কুয়েতের সিভিল সার্ভিস কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩০ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ছুটি কার্যকর থাকবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে উদযাপন:
সংযুক্ত আরব আমিরাতে রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাতে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপিত হবে। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই এই মহিমান্বিত রাতের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে, যা চলবে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত।
মধ্যপ্রাচ্যে ইবাদত:
আরও পড়ুন
বিশেষ এই রাতে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পুণ্যলাভের আশায় মিলাদ-মাহফিল, নফল নামাজ, জিকির এবং কোরআন তেলাওয়াতে মশগুল থাকবেন। পাশাপাশি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র জীবনী নিয়ে আলোচনা হবে। মুসলমানদের বিশ্বাস, রজব মাসের ২৭ তারিখে পবিত্র শবে মেরাজে মহানবী (সা.) আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন করেন। এই উপলক্ষে কেউ কেউ নফল রোজা রাখেন এবং বিশেষ ইবাদতে নিজেদের সম্পৃক্ত করেন।
শবে মেরাজের তাৎপর্য:
মেরাজ কোরআন, হাদিস ও ইজমায়ে উম্মত দ্বারা প্রমাণিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। মুসলমানদের মধ্যে এ রাতের গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
তবে, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে এই রাতের জন্য কোনো বিশেষ আমলের হুকুম দেননি বা নিজেও বিশেষ আমল করেননি।
পবিত্র কোরআনে মেরাজের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে: “لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا” অর্থাৎ “(মেরাজ সংঘটিত হয়েছিল) তাকে আমার নিদর্শন দেখাবার জন্যে।” (সুরা বনি ইসরাঈল ১)
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই রাতে অসংখ্য বড় বড় নিদর্শন দেখেছেন, যার মধ্যে অন্যতম হলো মানব জাতির পিতা আদম (আ.)-এর সাক্ষাৎ। তিনি আদম (আ.)-এর ডানপাশে শহীদদের (জান্নাতিদের) রুহ এবং বামপাশে জাহান্নামিদের রুহ দেখতে পান।