ওমানের মধ্যস্ততায় এক বছরেরও বেশি সময় পর গ্যালাক্সি লিডার জাহাজের ক্রু সদস্যদের মুক্তি দিলো ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠন হুতি। বুধবার (২২ জানুয়ারি) তাদের ওমানের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানায় সংগঠনটি।
জাহাজ কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, লোহিত সাগর উপকূল থেকে ছিনতাই হওয়ার সময় বাহামাসের পতাকাবাহী জাহাজটিতে ২৫ জন ক্রু ছিলো। যারা বুলগেরিয়া, ইউক্রেন, ফিলিপাইন, মেক্সিকো ও রোমানিয়ার নাগরিক।
ওমানের এমন মানবিক কাজের ভুয়ুসি প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের ইয়েমেন বিষয়ক বিশেষ দূত হ্যান্স গ্রুন্ডবার্গ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র নেতারা। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে লোহিত সাগর, এডেন উপসাগরে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পৃক্ত একের পর এক জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতি।
আরও পড়ুন
পাশপাশি, ২০২৩ সালের নভেম্বরে গ্যালাক্সি লিডার জাহাজটি আটক করে গোষ্ঠীটি। তখন হুতি থেকে জানানো হয়েছিল, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে জাহাজটি আটক করা হয়েছে। জাহাজটির মালিক একজন ইসরায়েলি ব্যবসায়ী, তবে পরিচালনা করে জাপানের একটি প্রতিষ্ঠান।
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের তৃতীয় দিনে ওমানে এই বন্দিদের মুক্তি দেয়া হয় বলে বলে জানিয়েছে ওমানের জাতীয় গণমাধ্যম। দীর্ঘ সময় পর পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত জাহাজটির ক্রুরা। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন জানায়, জাহাজটির ক্রুদের মুক্তি সবার মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে।
ইসরাইলি হামলার শিকার গাজাবাসীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশের উদ্দেশে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে শতাধিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা। তাদের দাবি ছিল, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই হামলা অব্যাহত রাখবে তারা।
উদ্দেশ্য, ইসরাইল এবং তার মিত্র দেশগুলোর বাণিজ্যে বিপত্তি সৃষ্টি করা। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে লোহিত সাগরে হুতিদের চালানো হামলায় বেশ কিছু দেশ বাণিজ্যে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে।