নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য—এ কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাপানের টোকিওতে আয়োজিত নিক্কেই ফোরামের ৩০তম সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। বলেন, ‘আমার কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথ মসৃণ করাই আমার প্রধান দায়িত্ব।’
প্রধান উপদেষ্টা জানান, সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলই ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন চায়। তবে তাড়াহুড়ো করে নির্বাচন আয়োজনের চেয়ে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা জরুরি। এজন্য প্রয়োজন আরও ছয় মাস সময়।
ড. ইউনূস জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারের পতনের পর এখন বাংলাদেশ নতুনভাবে গঠনের পথে রয়েছে। এই পথচলায় গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, সমতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরও বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গঠনে জাপানের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন
সম্মেলনে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরে এশিয়ার দেশগুলোকে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি, রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকা ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়টিও তুলে ধরেন।
এশিয়ার অস্থির ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিক শান্তি, আস্থা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে শুধু অর্থনৈতিক সূচকে নয়, বরং মানুষের কল্যাণ, সাহসিকতা ও পারস্পরিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে। তিনি তরুণদের চাকরি খোঁজার পরিবর্তে উদ্যোক্তা হওয়ারও আহ্বান জানান।