জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এখনও অনড় রয়েছে বিএনপি, যদিও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের আলোচনা ঘিরে নতুন রাজনৈতিক উত্তাপ তৈরি হয়েছে। দলটির অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, তারা চান ড. ইউনূস দায়িত্বে থাকুন, তবে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হোক।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থায়িত্ব এবং কার্যকারিতা রক্ষায় বিএনপির সমর্থন জরুরি হয়ে উঠেছে। সরকারঘনিষ্ঠ মহল থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, সহযোগিতার প্রস্তাবটি বিএনপির দিক থেকেই আসুক—এমনটাই তারা প্রত্যাশা করছেন। যদিও প্রকাশ্যে বিএনপির অবস্থান অনেকটাই কঠোর। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ড. ইউনূস পদত্যাগ করতে চাইলে তা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত; তবে নির্বাচন না করেই দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না।
শনিবার (২৪ মে) বিকেলে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে যাবেন বলে জানা গেছে। একইদিন সন্ধ্যায় সরকারপ্রধানের সঙ্গে দেখা করবেন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। রাজনৈতিক অঙ্গনে এই বৈঠকগুলোকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
রাজনৈতিক মিত্রদের সঙ্গে বিএনপির ঘনিষ্ঠ আলোচনা চলছে। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, এনসিপি, হেফাজতে ইসলামসহ একাধিক দল ইতোমধ্যে নির্বাচন ও সংস্কার রোডম্যাপ ঘোষণার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ বিষয়ে তাদের সমর্থন প্রকাশ পেয়েছে।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. তাহের পৃথকভাবে জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়ার রোডম্যাপ দরকার। অন্যদিকে, ইসলামী আন্দোলনের আমির চরমোনাই পীর সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সরকার যদি নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা না করে, তাহলে সহযোগিতার পথ সংকুচিত হবে। বিএনপির মতে, সংকট নিরসনের একমাত্র পথ দ্রুত নিরপেক্ষ নির্বাচনের ঘোষণা, না হলে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়বে।