আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্টরা দেশে নাশকতার আশঙ্কা করছেন। তাদের মতে, দলটি এর মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করতে পারে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজধানীসহ দেশের যেকোনো শহরে নাশকতা ঘটাতে পারে। আত্মগোপনে থেকে তারা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দেখামাত্রই গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশের উচ্চপর্যায় থেকে মাঠপর্যায়ে এই নির্দেশ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি দেশত্যাগ করা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং গ্রেপ্তার হওয়া নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।
নিষিদ্ধ সংগঠনের তৎপরতা ঠেকাতে রাজধানীসহ সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলার এসপিদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন
ডিএমপি জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ এবং এর সাথে যুক্ত যেকোনো সংগঠনের তৎপরতা কঠোরভাবে দমন করা হবে। নিষিদ্ধ সংগঠনের কাউকে দেখামাত্রই গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর তারা দেশবিরোধী গোপন তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। যারা সন্ত্রাসী বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারে, তাদের তালিকা ধরে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অনলাইনেও তাদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।