গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ (শনিবার) রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক অঙ্গনে তাৎক্ষণিক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সম্প্রতি গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত দুদিন ধরে लगातार কর্মসূচি পালন করে আসছে। এনসিপি তাদের প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ছাত্র জনতার আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধের বিচার এবং এর দায়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের জোরালো দাবি জানিয়ে আসছিল।
রাজনৈতিক অঙ্গনে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই, গত বুধবার মধ্যরাতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের থাইল্যান্ডে গমন নতুন করে কর্মসূচি পালনে ইন্ধন যোগায়। এর পরপরই এনসিপি আরও সক্রিয়ভাবে মাঠে নামে এবং তাদের দাবি আদায়ে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে।
আরও পড়ুন
সরকারের এই আকস্মিক সিদ্ধান্ত দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে নতুন দিকে মোড় নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা এবং আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।