আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য একটি বিশেষ কারাগার তৈরি করা হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে এখন সেই কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতারা বন্দি জীবন যাপন করবেন।
খালেদা জিয়াকে সেখানে স্থানান্তরের প্রস্তুতিও চলছিল। তবে ২০২০ সালে করোনা মহামারী শুরু হলে সরকার তাকে নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এরপর কয়েক দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। পরবর্তীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে খালেদা জিয়া বিভিন্ন মামলা থেকে অব্যাহতি পান এবং তার কারাবাসের প্রয়োজন হয়নি।
বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার খালেদা জিয়ার জন্য নির্মিত সেই বিশেষ কারাগারটি দুই বছরের জন্য চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ১৫ মে থেকে সেখানে বন্দিদের স্থানান্তর করা হবে। এই কারাগারে মূলত আওয়ামী লীগের সেই মন্ত্রী, এমপি ও ভিআইপিদের রাখা হবে, যারা সরকার পতনের পর গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আরও পড়ুন
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারাগারটি চালুর প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। সেখানে ভিআইপি বন্দিদের রাখা হবে এবং তাদের সেবার জন্য কিছু সাধারণ বন্দি থাকবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা হবে কঠোর। ইতোমধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এবং জ্যামার বসানোর কাজ চলছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ১৪৬ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মন্ত্রী শাজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, সাধন চন্দ্র মজুমদার, জুনায়েদ আহমেদ পলক, আরিফ খান জয়, পুলিশের সাবেক এসপি সাদেক খান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তা তানভীর সালেহ ইমন, বিতর্কিত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, সাবেক রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. সোহাইল, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং সাবেক সচিব শাহ কামাল।
এছাড়াও এই তালিকায় আরও অনেক সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও এমপি রয়েছেন।