কুয়েতে ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং উচ্চ মাধ্যমিক বা তার কম শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বড় ধরনের শ্রমনীতি পরিবর্তনের কথা ভাবছে দেশটির সরকার।
সম্ভাব্য এ নীতিগত পরিবর্তন নিয়ে কয়েক মাস ধরে আলোচনার মধ্যে রোববার দেশটির গণমাধ্যম আরব টাইমস ও আল-সেয়াসাহে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আশা দেখছেন প্রবাসীরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের শুরুতে জারি করা একটি শ্রমআইনে দেশটির জনশক্তি কর্মসংস্থান বিভাগ ষাটোর্ধ্ব বয়সী বিদেশি নাগরিকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ছাড়া কাজের অনুমতি না দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
আরও পড়ুন
তবে বিকল্প হিসেবে সেসব প্রবাসীদের জন্য সুযোগ রাখা হয় স্বাস্থ্যবীমা বাবদ ৫০০ কুয়েতি দিনার ও সরকারি ফি ২৫০ কুয়েতি দিনার পরিশোধ করে আকামা নবায়ন করার।
শ্রমবাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে শ্রমবাজারে সংকট দেখা দেয়। তবে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ষাটোর্ধ্ব বয়সী প্রবাসীদের আকামা ইস্যু পর্যালোচনা করার কথা জানায় কুয়েত সরকার। এবার পর্যালোচনা শেষে প্রবাসীদের জন্য সুখবর জানালেন কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী শেখ ফাহাদ আল-ইউসুফ।
আইনটির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এখন থেকে ষাটোর্ধ্ব বয়সী প্রবাসীদের আকামা নবায়নের জন্য আগের মতো শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ কিংবা বাড়তি অর্থ খরচ ৭৫০ কুয়েতি দিনার দিতে হবে না।”
কুয়েতে ৯ লাখ ৭ হাজার ৬১২ জন প্রবাসীর বয়স ৬০ বছর বা ষাটোর্ধ্ব বলে চার বছর আগে জানায় দেশটির শ্রম বিভাগ। এর মধ্যে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।