তেহরানের বিরুদ্ধে ইসরাইল যদি কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেয়, তবে ইসরাইলের সমস্ত অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাবে ইরান।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর যুগ্ম প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি এই ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন,
যদি (ইসরাইল)এই ধরনের অপরাধ অব্যাহত রাখে বা আমাদের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কিছু করতে চায়, তাহলে আজকের রাতের অভিযান আরও কয়েকগুণ শক্তিশালী হবে এবং তাদের সমস্ত অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে।
আরও পড়ুন
বাঘারি আরও বলেন, ইরানের বিশেষায়িত সামরিক শাখা রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করার জন্য প্রস্তুত।
এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এরই মধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে ইরানকে ইসরাইলে হামলা করার জন্য গুরুতর ফলাফল ভোগ করতে হবে।
মঙ্গলবারের (১ অক্টোবর) ইসরাইলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ইরান ১৮০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে কিছু ‘হাইপারসনিক ফাত্তাহ’ ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল, যেগুলোর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১০ হাজার মাইল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ হামলার লক্ষ্যবস্তু ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবের তিনটি সামরিক ঘাঁটি ছিল বলে জানিয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)।
ইরানের এ হামলার পর নিজস্ব নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নেতানিয়াহু। বৈঠক শুরুর আগে ইরানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। এছাড়া নেতানিয়াহু দাবি করেন, ইরানের হামলা ব্যর্থ হয়েছে।
নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কল্যাণে ইরানের হামলা নস্যাৎ করা সম্ভব হয়েছে। আমাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত।
তিনি বলেন, ইরান তাদের প্রতিরক্ষার দৃঢ় সংকল্প এবং জবাব দেওয়ার দৃঢ় সংকল্প বোঝে না। (হামাস নেতা) ইয়াহিয়া সিনওয়ার বোঝেনি, (হিজবুল্লাহ প্রধান) মোহাম্মদ দেইফ বোঝেনি, হাসান নাসরুল্লাহ বোঝেনি, প্রধান সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ সুখরও বোঝেনি। খুব সম্ভবত তেহরানে যারা আছে তারাও বোঝে না। তারা বুঝবে যে, তািদের ওপর যারা হামলা চালায়, ইসরাইলও তার ওপর হামলা চালাবে।