মধ্যপ্রাচ্যে সেনা মোতায়েনের প্রস্তুতি যুক্তরাষ্ট্রের, বাড়াচ্ছে বিমান সক্ষমতা

মধ্যপ্রাচ্যে সেনা মোতায়েনের প্রস্তুতি যুক্তরাষ্ট্রের, বাড়াচ্ছে বিমান সক্ষমতা

ইরানকে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত সম্প্রসারণের বিষয়ে সতর্ক করার পর, এবার অঞ্চলটিতে মার্কিন বিমান সহায়তা সক্ষমতা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি সেখানে সেনা মোতায়েনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতিও নিচ্ছে দেশটি। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মার্কিন সামরিক বাহিনী এই তথ্য জানিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ’ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে ইসরায়েলের হত্যা, তেহরানকে প্রতিশোধ নিতে প্ররোচিত করতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমন তীব্র উদ্বেগের মধ্যে তিনি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর অবস্থান সামঞ্জস্য করতে পেন্টাগনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর দু’দিন পর এই ঘোষণা এলো।

এক বিবৃতিতে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেছেন, ‘ইরান ও ইরান-সমর্থিত অংশীদার ও সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধাদের এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে বা সংঘাতের সম্প্রসারণ করা থেকে বিরত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র বদ্ধপরিকর।

তিনি সতর্ক করেন, যদি ইরান বা দেশটিকে সমর্থনকারী গোষ্ঠী ‘এই সময়টি কাজে লাগিয়ে আমেরিকান কর্মী বা এই অঞ্চলের স্বার্থকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য ব্যবহার করে তবে, আমাদের জনগণকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র।

পেন্টাগনের বিবৃতিতে নতুন বিমান স্থাপনার আকার বা সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। শুধু বলা হয়েছিল, ‘আমরা আগামী দিনে আমাদের প্রতিরক্ষামূলক বিমান সহায়তা ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করব।

একটি ক্রমবর্ধমান সামরিক অভিযানে হিজবুল্লাহ’র নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরাল্লাহ এবং তার অন্যান্য শীর্ষ কমান্ডারদের হত্যার পর, রবিবার লেবাননে গোষ্ঠীটির আরও লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে ইসরায়েল।

হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে প্রায় এক বছর ধরে পাল্টাপাল্টি আন্তঃসীমান্ত হামলা চলছিল। তবে সীমান্তের এই সংঘাত এবার সবচেয়ে তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটি তাদের প্রধান নেতাসহ অধিকাংশ নেতৃত্বকে হারিয়েছে, যা হিজবুল্লাহর নিরাপত্তার ফাঁকফোকরগুলোই প্রকাশ করেছে। তবে একইসঙ্গে এটি মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত নিয়ন্ত্রণ ও মার্কিন কর্মীদের সুরক্ষায় ওয়াশিংটনের প্রকাশ্যে ঘোষিত লক্ষ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।

হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি রবিবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণ করতে হিজবুল্লাহ কী করে তা দেখছে। একইসঙ্গে ‘ঠিক পরবর্তী পদক্ষেপগুলো কী তা নিয়ে ইসরায়েলিদের সঙ্গে সংলাপ করছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এখনও লেবানন থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়নি। তবে গত সপ্তাহে, মার্কিন কর্মকর্তারা রয়টার্সকে বলেছিলেন, লেবানন থেকে আমেরিকানদের সরিয়ে নেওয়া এবং এই পরিস্থিতির জন্য সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত করায় সহায়তা করতে সাইপ্রাসে কয়েক ডজন অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে পেন্টাগন।

পেন্টাগন জানিয়েছে, প্রয়োজনে মার্কিন বাহিনীকে মোতায়েন করতে ব্যাপকভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে পেন্টাগনের মুখপাত্র বলেছে, ‘অস্টিন অতিরিক্ত মার্কিন বাহিনী মোতায়েনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিভিন্ন অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে আমরাও আমাদের প্রস্তুতি বাড়িয়েছি।

আরও দেখুনঃ

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Gif final ezgif.com optimize