ইরানের একটি প্রাদেশিক শহরে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর দেশটির নির্বাহীর পদ শূন্য হয়ে যায়। সেই পদ পূরণ করতেই আগামী ২৮ জুন দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এতে লড়তে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন জোহরা ইলাহিয়ান। ইরানের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী অভিভাবক পরিষদ অনুমতি দিলে তিনিই হতে যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে যাওয়া প্রথম নারী।
লন্ডনভিত্তিক ফারসি ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল ইরান ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৫৭ বছর বয়সী ইলাহিয়ান পেশায় একজন চিকিৎসক।
আরও পড়ুন
তিনি পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও বিদেশ নীতি বিষয়ক কমিটির সাবেক সদস্য। এর আগে তিনি দুই বার পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই পার্লামেন্টের পথঘাট খুব ভালো করেই চেনাজানা আছে তার।
প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনয়ন ফরম তোলার পর তার সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, সুস্থ সরকার, সুস্থ অর্থনীতি এবং সুস্থ সমাজ হলো আমার নির্বাচনী লক্ষ্য। এ সময় তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধেও লড়াইয়ের ঘোষণা দেন।
অন্য কট্টরপন্থীদের মতো ইলাহিয়ান বাধ্যতামূলক হিজাবের নিয়ম সমর্থন করেন। গত মার্চ মাসে কানাডা ‘নারী, জীবন ও স্বাধীনতা’ আন্দোলনে জড়িত বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
বাধ্যতামূলক হিজাব অমান্যকারী নারীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর নীতি ও পদক্ষেপ গ্রহণের পর মাত্র কয়েক মাস পরই ইলাহিয়ান তার প্রার্থিতা ঘোষণা করলেন।
প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু বদলে দিতে পারে ইরানের শাসনকাঠামোপ্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু বদলে দিতে পারে ইরানের শাসনকাঠামো।
এদিকে, আসন্ন নির্বাচনে লড়তে নিজের প্রার্থিতার জন্য রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।
ইরানের রাষ্ট্রীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচারে দেখা গেছে, রাজধানী তেহরানে অবস্থিত ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নিজের ফরম পূরণ করছেন আহমাদিনেজাদ। পরে ওই টেলিভিশনকে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করাই আমার প্রধান লক্ষ্য।