চলতি বছরের শুরু থেকে কুয়েত সরকার দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী, শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী এবং নানা অপরাধে জড়িত ১৯ হাজারের বেশি বিদেশি নাগরিককে দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে। রোববার (২৭ জুলাই) আরব টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর তৎপরতায় এসব প্রবাসীকে বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়। বহিষ্কৃতদের মধ্যে পলাতক, হকার, ভিক্ষুক এবং বসবাস ও শ্রম সংক্রান্ত নিয়মভঙ্গকারীরা অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও মাদক সেবন ও পাচার, মদ্যপানসহ অন্যান্য অপরাধে গ্রেফতার ব্যক্তিদেরও দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।
কুয়েত সরকার দ্রুত বহিষ্কারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে। বেশিরভাগ প্রবাসী এক সপ্তাহের মধ্যেই নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়, যা নির্ভর করে গন্তব্য ও ফ্লাইটের প্রাপ্যতার ওপর। তাদের প্রত্যেকের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করে স্থায়ীভাবে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করা হয়েছে, ফলে ভবিষ্যতে তারা আর কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবে না।
আরও পড়ুন
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কুয়েতে ভিক্ষাবৃত্তি আইনত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও প্রতি বছর রমজান মাসে কিছু বিদেশি নাগরিক এ অপরাধে জড়ায়। গত রমজানে কুয়েত প্রশাসন ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশের ৬০ জন নারী ও পুরুষকে আটক করে এবং তদন্ত শেষে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এদিকে, কর্তৃপক্ষ সাধারণ জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে— কেউ ভিক্ষাবৃত্তি বা কোনো অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপত্তা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এমন তৎপরতা আরও জোরদার করা হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে প্রশাসন।