দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী জাহেদানে একটি বিচার বিভাগ ভবনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের এই হামলায় অন্তত পাঁচ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রয়টার্স ও দ্য টাইমস অব ইসরায়েল রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানায়, হামলাকারীরা দর্শনার্থীর ছদ্মবেশে বিচার ভবনে প্রবেশ করে হঠাৎ গুলি ও গ্রেনেড হামলা শুরু করে। এতে ভবনের ভেতরে থাকা এক বছরের শিশু ও তার মায়ের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলেই তিনজন হামলাকারীও নিহত হয়। তবে তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে—কেউ বলছে তারা পুলিশের গুলিতে নিহত, আবার কেউ বলছে তারা নিজেরাই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মারা গেছে।
সরকারি সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ’র বরাত দিয়ে জানানো হয়, ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) আঞ্চলিক সদর দপ্তর হামলার সময় তিন হামলাকারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন
এদিকে, ইরানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা আলিরেজা দালিরি জানিয়েছেন, হামলাকারীরা নিরাপত্তা ব্যূহ ভেদ করে ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। গ্রেনেড ছুড়ে আতঙ্ক ছড়ায় এবং প্রাণহানি ঘটে। তিনি জানান, নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারত।
ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, পাকিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সক্রিয় ও ইরানবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিগোষ্ঠী ‘জাইশ আল-আদল’ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এই গোষ্ঠী পূর্বে ইরানে একাধিক হামলার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনার পরপরই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।