কাতারে কর্মরত ঝিনাইদহের এক প্রবাসী যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। নিহতের নাম আকিমুল ইসলাম (৩০)। গত ১২ জুলাই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে পরিবারের দাবি। বর্তমানে তার মরদেহ ফেরত আনা নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা।
আকিমুল ইসলাম ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার ধোপাবিলা গ্রামের বাসিন্দা এবং আব্দুল ওয়াদুদের একমাত্র পুত্র। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কাতারের এক সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড় ছেলে আশিক, যিনিও কাতারে অবস্থান করছেন, পরিবারের সদস্যদের বাবার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন। মরদেহ বর্তমানে কাতার পুলিশের হেফাজতে রয়েছে এবং কয়েকদিন পর ছেলেকে বাবার মরদেহ দেখার অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
আকিমুলের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ জানান, প্রবাসে ভালো আয়ের আশায় দুই বছর আগে ধার-দেনা করে ছেলেকে কাতারে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ পেলেও কোনও টাকা দেশে পাঠাতে পারেননি। পরে সচ্ছলতা ফেরাতে কষ্ট করে বড় ছেলে আশিককেও বিদেশ পাঠানো হয়। তবে তিনিও কাজ জোগাড়ে ব্যর্থ হন। এখন আকিমুলের মৃত্যু এবং মরদেহ ফেরত আনার খরচে দিশেহারা পরিবার।
তিনি সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, “আমরা গরিব মানুষ, ছেলের মরদেহ দেশে আনার সামর্থ্য আমাদের নেই। সরকারের সহায়তা ছাড়া এ অসম্ভব। একমাত্র সন্তানের মরদেহ যেন বাড়িতে ফেরত আসে, সেই অনুরোধ করছি।”
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন মাতুব্বর জানান, তারা বিষয়টি সম্পর্কে এখনো অবগত নন এবং সাধারণত এ ধরনের ঘটনার দায়িত্ব প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলামও বলেন, বিষয়টি তিনিও প্রথমবার শুনেছেন এবং খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।