কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা বাণিজ্য সংক্রান্ত এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। সোমবার (তারিখ) মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আবাসন সংক্রান্ত গোয়েন্দা বিভাগ একটি নতুন ভিসা জালিয়াতি চক্রের সন্ধান পেয়েছে এবং এই চক্রের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে।
তদন্তে জানা যায়, এক কুয়েতি নাগরিক তার পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২৫টি কোম্পানি এবং আরও ৪টি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের হয়ে স্বাক্ষর করার অনুমতি নিয়েছিলেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি ৫৬ জনেরও বেশি বিদেশি শ্রমিককে অবৈধভাবে রেসিডেন্স ভিসা সরবরাহ করেন, যাদের প্রকৃত কোনো কর্মস্থল ছিল না।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই অপরাধ শুধু ভিসা বাণিজ্যই নয়, মানবপাচারেরও জঘন্য উদাহরণ। এতে দেশের শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভারসাম্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
আরও পড়ুন
এছাড়া তদন্তে উঠে এসেছে, এসব প্রতিষ্ঠান কেবল কাগজে-কলমেই অস্তিত্বশীল এবং তাদের মাধ্যমে অবৈধভাবে শ্রমিক আনা হচ্ছিল। মন্ত্রণালয় এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে কঠোরভাবে দমন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ভিসা ও মানবপাচার সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের চিহ্নিত করতে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই অভিযানকে কুয়েতে অবৈধ রেসিডেন্সি ও মানবপাচার প্রতিরোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট মহল।