ইরাকের সুলাইমানিয়া শহরের কাছে চালানো একটি ড্রোন হামলায় কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) একজন সদস্য নিহত হয়েছেন। এই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, শনিবার (১৯ জুলাই) এই হামলার ঘটনা ঘটে, যা গত কয়েক মাসে এই অঞ্চলে প্রথম বড় ধরনের হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা সূত্র ও স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, হামলাটি কে চালিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয় এবং কোনো পক্ষ এখন পর্যন্ত এর দায় স্বীকার করেনি। অজ্ঞাতপরিচয় ড্রোনের মাধ্যমে আক্রমণটি চালানো হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এমন একটি সময়ে হামলাটি হলো, যখন পিকেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সশস্ত্র লড়াই থেকে সরে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ১১ জুলাই কুর্দিস্তানের একটি অনুষ্ঠানে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন পিকেকে সদস্য অস্ত্র জমা দেন। প্রতীকী এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে। গ্রীষ্মজুড়ে চলবে এই নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পিকেকে’র সিদ্ধান্ত গোটা অঞ্চলের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা বয়ে আনবে। এর আগে, মে মাসে এক বিবৃতিতে পিকেকে নিজেদের ‘ঐতিহাসিক মিশন’ শেষের ঘোষণা দেয় এবং সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করার কথা জানায়।
চার দশক ধরে চলা তুর্কি-কুর্দি সংঘাতের অবসানে এই উদ্যোগকে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। দীর্ঘ এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পিকেকে’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন থেকে কুর্দি রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে কুর্দি জাতির ভবিষ্যৎ গঠনে ভূমিকা রাখবে।