গাজায় চলমান সহিংসতা বন্ধে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ সক্রিয়ভাবে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ প্রচেষ্টার নেতৃত্বে রয়েছে মিশর। তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, এই উদ্যোগে হামাসের সহযোগিতা না থাকায় আলোচনা জটিল হয়ে উঠছে। এবারের প্রচেষ্টায় হামাসের অনমনীয় অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়েছে।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার ১২ দিনের সাম্প্রতিক সংঘাতের অবসানের পর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে চেষ্টা করছে। এ উদ্যোগের প্রেক্ষাপটেই হামাস ও ইসরায়েলকে আলাপের টেবিলে আনতে চাপ বাড়ছে।
তবে হামাস এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়নি। আবার তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধও গড়ে তুলতে পারছে না। এমন অবস্থানে মিশর বিরক্তি প্রকাশ করেছে। টাইমস অব ইসরায়েলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একজন আরব কূটনীতিক জানান, কাতারে অবস্থানরত হামাস প্রতিনিধি দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে মিশর। এমনকি যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করায় তাদের হুমকি ও অপমানও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
সূত্র মতে, মিশরের ক্ষোভের মূল কারণ হলো—হামাস আলোচনা শুরুর পথটাই বন্ধ করে রাখছে। মধ্যস্থতাকারীরা এখনো তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। ইতিমধ্যে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ৬০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আলোচনায় রয়েছে।
যদিও পরিস্থিতি জটিল, তবুও সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্রগুলো আশাবাদী যে, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব। হামাসের অনমনীয় অবস্থান সত্ত্বেও আগামী কয়েক দিনের মধ্যে একটি অন্তর্বর্তী চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে বলে তারা মনে করছে।