ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের সামরিক উত্তেজনার সময়ে ইরানের এক বিশেষ অভিযানে ৩০ জন ইসরায়েলি পাইলট নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইরাকে নিযুক্ত ইরানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হাসান কাজেমি কোমি। এই হামলাকে তিনি ইসরায়েলি শাসনের ওপর একটি ‘বড় ধাক্কা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে কাজেমি জানান, ওই অভিযানের মাধ্যমে ইরান শুধু শত্রু পক্ষের কৌশলগত শক্তিকেই দুর্বল করেনি, বরং তাদের আঞ্চলিক পরিকল্পনাও ভেস্তে দিয়েছে। তিনি বলেন, “শত্রুর মূল লক্ষ্য ছিল ইরানে সরকার পরিবর্তন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও সক্রিয়ভাবে মধ্যপ্রাচ্যে ফিরিয়ে আনা। কিন্তু তারা সে লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, ইসলামি বিপ্লবের নেতার নেতৃত্বে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং শত্রুপক্ষকে বড় ধরনের সামরিক ও রাজনৈতিক বার্তা দেয়।
আরও পড়ুন
উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন সামরিক, পারমাণবিক এবং আবাসিক স্থাপনায় টানা ১২ দিন ধরে হামলা চালায়। এরপর ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের নাতাঞ্জ, ফোরদো এবং ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক অভিযান চালায়।
এই আগ্রাসনের পাল্টা জবাব হিসেবে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’-এর আওতায় ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়। একই সময়ে কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি ‘আল-উদেইদ’-এও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। শেষ পর্যন্ত মার্কিন মধ্যস্থতায় ২৪ জুন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় এবং সাময়িকভাবে উত্তেজনা কমে আসে।