গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে ইয়েমেনের হুথি-নিয়ন্ত্রিত সশস্ত্র বাহিনী ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের এলাত (উম্ম আল-রাশরাশ) বন্দরে এবং নেগেভ অঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে। ইয়েমেনি বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে জানান, এই অভিযানে তিনটি ড্রোন ব্যবহার করা হয় এবং নির্ধারিত লক্ষ্য সফলভাবে আঘাত হানে।
ইয়াহিয়া সারি বলেন, “আল্লাহর কৃপায় এই অভিযান সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ইসরায়েল যদি গাজায় হামলা ও অবরোধ অব্যাহত রাখে, তবে ইয়েমেনি বাহিনীর প্রতিরোধও চলবে। আরব ও ইসলামি বিশ্বের ওপর যেকোনো আগ্রাসনেরও জবাব দেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থামেনি। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৬১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এই মানবিক সংকট দিন দিন গভীর হচ্ছে।
আরও পড়ুন
উত্তর গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় মঙ্গলবার কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন বলে আল জাজিরা চিকিৎসা সূত্রে জানিয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় একটি সাহায্য বিতরণ কেন্দ্রে হামলায় দুই নারী নিহত হন এবং আরও ৩০ জন আহত হন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত মে থেকে এখন পর্যন্ত সাহায্য নিতে গিয়ে ৮৭৫ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
এছাড়া, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর গাজার ১৬টি এলাকার বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে, যার মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া জাবালিয়া শহরও রয়েছে। আল জাজিরার সাংবাদিক মোয়াজ আল-খালাউত জানিয়েছেন, মানুষ গাড়ি বা গাধার গাড়িতে করে এলাকা ছাড়ছে, কিন্তু গন্তব্য সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত নয়। জ্বালানির ঘাটতির কারণে পরিবহন সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।