দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত কোনো বাংলাদেশি নাগরিক মারা গেলে তার মরদেহ এখন থেকে সম্পূর্ণ সরকারি খরচে দেশে পাঠানো হবে। এ ছাড়া প্রবাসীর বিএমইটি (BMET) কার্ড থাকলে, মৃত্যুর পর তার পরিবার সরকারের বীমা সুবিধা এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে ক্ষতিপূরণও পাবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিব সরোয়ার আলম সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমানে ৩০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। অনেকেই জীবিকার প্রয়োজনে পরিবার ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছেন এ দেশে। তবে দুঃখজনকভাবে কেউ কেউ ফিরছেন না জীবিত অবস্থায়। অতীতে অনেক প্রবাসীর মরদেহ অর্থের অভাবে দীর্ঘদিন মর্গে পড়ে থেকেছে। কখনো কখনো স্বজনরা প্রিয়জনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে না পেরে বিদেশের মাটিতেই দাফন করতে বাধ্য হয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি কমিউনিটি ও কিছু দানশীল ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে মৃতদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতেন। এবার সরকারিভাবে এ দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা প্রবাসীদের জন্য অনেকটা স্বস্তির বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
সরোয়ার আলম জানান, বিএমইটি কার্ডধারী কর্মীরা মৃত্যুর পর সরকারের বীমা কাভারেজের আওতায় ক্ষতিপূরণ পাবেন, যা তাদের পরিবারের জন্য বড় সহায়তা হতে পারে। তবে এ সুবিধা পেতে হলে অবশ্যই পাঁচ বছরের মেয়াদী বৈধ বিএমইটি কার্ড থাকতে হবে।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই ঘোষণাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও তারা চান, দ্রুততম সময়ে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক, যেন আর কোনো প্রবাসীর মরদেহ অনিশ্চয়তায় পড়ে না থাকে বিদেশের মাটিতে।