কুয়েতগামী বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য প্রথমবারের মতো ন্যূনতম বেতন কাঠামো নির্ধারণ করেছে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। ২০২৫ সালের ১ আগস্ট থেকে নতুন এই কাঠামো বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর হবে বলে দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। নতুনভাবে ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নিয়োগদাতাদের জন্য এই নিয়ম মানা আবশ্যিক।
দীর্ঘদিন ধরে কুয়েতে কাজরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের কোনো নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো ছিল না। এবার দূতাবাসের নির্ধারিত কাঠামো অনুযায়ী, গৃহকর্মীদের জন্য মাসিক বেতন ১২০ দিনার, বাসার ড্রাইভার ও রাঁধুনির জন্য ১৫০ দিনার, সরকারি প্রকল্পে কর্মরত অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য ৯০ দিনার, বেসরকারি খাতে অদক্ষ শ্রমিকের জন্য ১২০ দিনার এবং দক্ষ ড্রাইভার ও শ্রমিকদের জন্য ১৫০ দিনার নির্ধারণ করা হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই এই বেতন দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের ভিত্তিতে প্রযোজ্য হবে।
বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, এই বেতন কাঠামো না মানলে শ্রমিকের ভিসা কোনোভাবেই সত্যায়িত করা হবে না। দূতাবাসের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাদের মতে, এ সিদ্ধান্তে নতুন শ্রমিকরা সুরক্ষা পাবে এবং শোষণের ঝুঁকি কমবে।
আরও পড়ুন
তবে প্রবাসীদের অনেকে মনে করছেন, ন্যূনতম বেতন কাঠামো নির্ধারণ করাই যথেষ্ট নয়, বরং এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন ও মনিটরিং করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য দূতাবাসকে আরও সক্রিয় ও কঠোর হতে হবে বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এই উদ্যোগ প্রবাসী শ্রমিকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এটি সরকারের শ্রম রপ্তানি নীতিকে আরও সুসংগঠিত করার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।