ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের সঙ্গে সম্প্রতি সাক্ষাৎ করেছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ১৫ জন ‘কথিত ইমাম’। পাশাপাশি তারা দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনাও পরিদর্শন করেছেন। সফররত এই দলটি দাবি করছে, তারা মুসলিম ও ইহুদিদের মধ্যে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতেই এ সফরে এসেছেন।
তবে মিসরের সুন্নি ইসলামি বিদ্যাপীঠ আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় এই সফর এবং অংশগ্রহণকারীদের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এই ইমামরা মুসলিমদের প্রকৃত প্রতিনিধি নন, বরং ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্মীয় মূল্যবোধ বিসর্জন দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, “এই ব্যক্তিরা শান্তি ও সহাবস্থানের কথা বললেও তারা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের চলমান গণহত্যা, আগ্রাসন ও নিরপরাধ হত্যার বিষয়ে নীরব থেকেছেন। এই সফর এক ধরনের নৈতিক অবক্ষয়ের পরিচয়।”
আরও পড়ুন
বিশ্ববিদ্যালয়টি আরও বলেছে, তারা ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে না এবং মুসলিমদের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আল-আজহার ঘোষণা করেছে, তারা সবসময় নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষেই থাকবে।
এদিকে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অব ইমামস থেকেও এই সফরের তীব্র সমালোচনা এসেছে। সংগঠনটি বলেছে, অংশগ্রহণকারীরা কোনো স্বীকৃত ইসলামি প্রতিষ্ঠান বা প্রতিনিধিত্বমূলক সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত নন। ইসরায়েলি নেতাদের সঙ্গে এ ধরনের বৈঠক গণমাধ্যমে প্রচার করায় তারা বিস্ময় প্রকাশ করেছে।