ইসরায়েলের গাজা হামলা অব্যাহত থাকা অবস্থায় দেশটির সংসদ নেসেট-এর এক বিশেষ অধিবেশনে সৌদি আরব ও সিরিয়ার দুই নাগরিকের উপস্থিতি নতুন করে কূটনৈতিক চমক তৈরি করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের জটিল ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই ঘটনা নতুন প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ আরব জানিয়েছে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন সৌদি সাংবাদিক আব্দুল আজিজ আল-খামিস এবং সিরিয়ার সাবেক হাসপাতাল পরিচালক ও বর্তমান এনজিও নির্বাহী শাদি মার্তিনি। তারা অংশ নেন “The Caucus to Promote a Regional Security Agreement” শীর্ষক এক সেশনে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতা ও আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথ খোঁজা।
যদিও সৌদি আরব বরাবরই প্রকাশ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে সরব থেকেছে, তবে এই প্রতিনিধিত্ব দেশটির পর্দার আড়ালের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিশ্লেষকদের মতে, সৌদি কর্তৃপক্ষ একদিকে প্রকাশ্যে ইসরায়েল-বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে, অন্যদিকে গোপনে সম্পর্ক উন্নয়নের পথেও এগোচ্ছে।
আরও পড়ুন
এছাড়া সম্প্রতি ইউরোপে বসবাসরত কিছু আরব ও মুসলিম ধর্মীয় নেতার সৌদি সফর এবং সেখানে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের সঙ্গে সম্ভাব্য সাক্ষাৎ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
ইসরায়েল বর্তমানে গাজায় যেভাবে হামলা চালাচ্ছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের মুখোমুখি—এমন প্রেক্ষাপটে সৌদি ও সিরিয়ার নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব অনেকের কাছে রাজনৈতিক দ্বৈতনীতি বলে মনে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ফিলিস্তিন ইস্যুতে ঐতিহ্যগত সমর্থনের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।