ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদের চত্বরে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের নাচ-গান এবং অবাধে ঘোরাফেরার অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল সরকার। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম। প্রথমবারের মতো এই ধরনের অনুমতির ঘটনায় মুসলিম বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলভিত্তিক টিভি চ্যানেল সেভেনের খবরে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গেভির প্রণীত নতুন নীতির আওতায় এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ডানপন্থী জোটের একজন প্রভাবশালী সদস্য এবং নিজেও অবৈধ বসতি স্থাপনকারী হিসেবে পরিচিত। মন্ত্রীর নির্দেশনায় ইতোমধ্যেই পুলিশকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আল-আকসা চত্বরে সঙ্গীত, নৃত্য এবং ভ্রমণে কোনো বাধা দেওয়া যাবে না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কিছু ইহুদি ধর্মীয় সংগঠন কয়েক সপ্তাহ আগে বেন-গেভিরের দপ্তরে গিয়ে আল-আকসা চত্বরে প্রবেশাধিকার বাড়ানোর দাবি তোলে। এরপরই এই সিদ্ধান্ত আসে। বৈঠকে মন্ত্রী বলেছিলেন, “আমি চাই, পুরো আল-আকসা চত্বরজুড়ে সঙ্গীতের সুর বেজে উঠুক।”
আরও পড়ুন
যদিও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি, তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এটি পূর্ব জেরুজালেমের দখলদারিত্ব আরও শক্তিশালী করার কৌশল হতে পারে। উল্লেখ্য, পূর্ব জেরুজালেম এবং আল-আকসা মসজিদ অঞ্চল ১৯৬৭ সালে ইসরায়েলের দখলে আসে এবং ১৯৮০ সালে তা নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে ঘোষণা করে দেশটি। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনও এই দখলকে বৈধতা দেয়নি।
এই ধরনের পদক্ষেপ মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানবে এবং অঞ্চলটিতে উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আল-আকসা মুসলমানদের কাছে শুধু ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিকভাবে এক স্পর্শকাতর স্থান।