ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পর প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি বলেছেন, এ যুদ্ধে ইরান বিজয়ী হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের মুখে তারা “এক কঠিন থাপ্পড়” দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি বৃহস্পতিবার (২৬ জুন)।
খামেনি বলেন, “এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল, কারণ তারা ভেবেছিল ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হয়েছে উল্টো। আমেরিকা এ যুদ্ধে কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি।” তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে ইরানের প্রতিরোধের সাফল্য এবং ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়েছে।
একই পোস্টে খামেনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জয়লাভের জন্য জাতিকে অভিনন্দন জানান। তিনি ইহুদিবাদী শাসনের পতনের লক্ষ্যে চলমান প্রতিরোধকে ‘বিজয়ের পথ’ হিসেবে অভিহিত করেন। যুদ্ধের সময় গোপন নিরাপদ বাংকারে আশ্রয়ে থাকলেও যুদ্ধবিরতির পর খামেনির এই বার্তাই তাঁর প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্য।
আরও পড়ুন
বিবিসি আরও জানায়, যুদ্ধকালীন সময় আয়াতুল্লাহ খামেনি তাঁর তেহরানের বাসভবন ত্যাগ করে একটি বাংকারে আশ্রয় নিয়েছিলেন, যেখানে তিনি পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন। এমনকি ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারাও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধের পর খামেনি যখন আবার প্রকাশ্যে আসবেন, তখন তিনি এক ভিন্ন ইরান দেখবেন—একটি বিধ্বস্ত, ক্ষুব্ধ ও ভেতর থেকে বদলে যাওয়া দেশ। রাষ্ট্রীয় টিভিতে হয়তো তিনি বিজয়ের ঘোষণা দেবেন, তবে বাস্তবতা হবে অনেক কঠিন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও কাতারের আমিরের মধ্যস্থতায় সাময়িকভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এখনো খামেনিকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর সম্ভাবনা নাকচ করেননি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।