মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যে কোনো মুহূর্তে সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র । এই গোষ্ঠীগুলোর অবস্থান ইসরায়েল ঘিরে বিভিন্ন দেশে বিস্তৃত। সামরিক চাপ বাড়লে ইরান খুব দ্রুত তাদের আঞ্চলিক মিত্রদের পুনরায় সক্রিয় করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আল জাজিরার এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের মিত্র মিলিশিয়াগুলো সক্রিয় হলে তা কেবল ইসরায়েলকেই নয়, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। এসব গোষ্ঠীর সাম্প্রতিক দুর্বলতা সত্ত্বেও তাদের কার্যক্ষমতা এখনও রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে জড়ায় বা তাদের সামরিক ঘাঁটি থেকে ইরানে হামলা চালানো হয়, তবে তেহরান কেবল নিজেই প্রতিক্রিয়া জানাবে না—বরং তার মিত্র সশস্ত্র সংগঠনগুলোকেও মাঠে নামাবে। এই সমন্বিত প্রতিরোধ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন
গত কয়েক মাসে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহসহ লেবানন ও সিরিয়ার একাধিক ইরানঘনিষ্ঠ গোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, তাদের সাংগঠনিক কাঠামো এখনো অক্ষত রয়েছে। একইভাবে ইরাকেও ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি ও সরবরাহ রুটে হামলা চালিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে এই হামলা আবার শুরু হতে পারে।
এমন পরিস্থিতি কেবল ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষকরা। এর অভিঘাত সিরিয়া, লেবানন, ইরাক, ইয়েমেনসহ উপসাগরীয় দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাই হুমকির মুখে পড়বে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, ইরান যদি তার আঞ্চলিক নেটওয়ার্ককে সক্রিয় করে তোলে, তবে সেটি কেবল একটি যুদ্ধ নয়—বরং মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেবে। এই সংঘাতের পরিণতি তাই গোটা বিশ্বেই নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রশ্নে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।