ইরান-ইসরায়েল চলমান উত্তেজনায় নতুন করে চাপের মুখে পড়েছে ইসরায়েল। পাল্টা হামলায় ইরানের শক্ত প্রতিক্রিয়ার মুখে দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ইসরায়েলের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘অ্যারো ইন্টারসেপ্টর’-এর মজুত দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন, যা বুধবার আলজাজিরার মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
প্রতিবেদনে এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র কয়েক মাস ধরেই এই ঘাটতির বিষয়ে অবগত ছিল। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে অতিরিক্ত সামরিক প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তাদের ভাষ্য, অস্ত্রভিত্তিক তথ্য প্রকাশ করা নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতির সমালোচনা করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি এক এক্স পোস্টে বলেন, “মার্কিনদের মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়া ছিল সবচেয়ে ভুল সিদ্ধান্ত।” তাঁর মতে, এতে শুধু আমেরিকান সেনা প্রাণ হারায়নি, বরং অঞ্চলটিতে প্রাণ গেছে লাখ লাখ মানুষের। তাঁর এ বক্তব্য সংঘাতের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
আরও পড়ুন
শির মন্তব্যের আগেই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ তোলে, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। এই অবস্থায় ইসরায়েলকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ঘাটতির পাশাপাশি কূটনৈতিক চাপের মুখেও পড়তে হচ্ছে।
এই সংঘাত যখন আরও তীব্র রূপ নিচ্ছে, তখন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা ইসরায়েলের জন্য এক বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।