ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা: যুদ্ধ না থামালে যুদ্ধবিরতির ভিক্ষা চাইতে হবে

Warning to israel if the war doesn't stop, it will have to beg for a ceasefire

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে ইসরায়েলি এক নিরাপত্তা ও সামরিক বিশ্লেষকের মন্তব্যে। ইয়োসি মেলম্যান নামের এই বিশেষজ্ঞ ইসরায়েলি নেতাদের সতর্ক করে বলেছেন, তেহরানের কাছে যুদ্ধবিরতি ভিক্ষা চাওয়ার আগে তাদের এই যুদ্ধোন্মাদনা বন্ধ করা উচিত।

সম্প্রতি ইসরায়েলের চালানো হামলায় তেহরানসহ ইরানের কয়েকটি শহরে সামরিক কমান্ডার, বিজ্ঞানী এবং বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এর প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের একাধিক অঞ্চল লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।

ইসরায়েলি বিশ্লেষক মেলম্যান মেহর নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “যদি সংঘাত চলতে থাকে, তাহলে শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলকেই যুদ্ধবিরতির জন্য ইরানের কাছে ভিক্ষা চাইতে হবে।” তিনি উল্লেখ করেন, ইরানিরা দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ সহ্য করতে অভ্যস্ত এবং তাদের আত্মত্যাগের মানসিকতা অত্যন্ত দৃঢ়, যেমনটি তারা ইরাক-ইরান যুদ্ধে প্রমাণ করেছে।

এদিকে, মিশরের কায়রো স্কুল অব পলিটিক্যাল সায়েন্সের সাবেক ডিন আলিয়া আল-মাহদি বলেন, “ইরান একটি বড় এবং বৈজ্ঞানিকভাবে অগ্রসর দেশ। ইসরায়েল এ অঞ্চলে অস্থিরতা, দাঙ্গা ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যার পেছনে ছিল পশ্চিমা শক্তি ও ব্রিটেনের পরিকল্পনা।”

মিশরীয় বিশ্লেষক কামাল হাবিব আরও বলেন, “বর্তমানে ইরানের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যকর আঘাত হানার। যদি এবার ইসরায়েল বেঁচে যায়, তাহলে আমাদের স্বাধীনতা ও সম্মান টিকবে না। শান্তির জন্য ইসরায়েলের পরাজয় অপরিহার্য।”

অন্যদিকে বিশ্লেষক আবদেল নবী ফারাজ বলেন, বর্তমান সংঘাতে আরব বিশ্বকে ইরানের পাশে দাঁড়াতে হবে। “আমাদের প্রধান শত্রু হলো ইসরায়েল। আমরা এখন উপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে ইরানের পাশে আছি।”

আরও দেখুন:

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Probashir city web post