মধ্যপ্রাচ্যে আবারও উত্তেজনা ঘন হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে চলা ছায়াযুদ্ধ প্রকাশ্যে এসেছে সরাসরি সংঘাতে। ১৫ জুন ইসরায়েলের এক হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানে ইসলামিক রেভলুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) গোয়েন্দা প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কাজেমিসহ ঊর্ধ্বতন আরও দুজন সেনা কর্মকর্তা — উপপ্রধান হাসান মুহাক্কিক ও মহসেন বাঘেরি।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যেকার উত্তেজনার পিছে রয়েছে পারমাণবিক কর্মসূচির বিতর্ক। ইরান বলছে তাদের পারমাণবিক উদ্যোগ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ, অপর দিকে ইসরায়েল তা হুমকি হিসেবে দেখছে। এর মধ্যেই ১৩ জুন শুরু হয় নতুন সংঘাত, যা দিন দিন আরও ঘনাচ্ছে। শুরুতে ইরানি বিজ্ঞানীদের ঘরে হামলা চালানো হয়, তারপর একের পর এক টার্গেটেড আক্রমণে নিহত হন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তাদের সেনাবাহিনী সফল ও সুসংগঠিত হামলা চালিয়েছে এবং নাতান্জ পারমাণিবক স্থাপনাও ধ্বংস করেছে। অপর দিকে, ইরানও তাদের সরকার ও সংবাদমাধ্যমে সেই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাতান্জ কেন্দ্রটি ছিল ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার সক্ষমতাসম্পন্ন, যা কিনা দেশটির পারমাণিবক কর্মসূচির ক্ষেত্রে অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর বিনাশে যে বড় ধরনের ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে, তা অমোচনীয় হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা।
ইরান এখনও পর্যন্ত বড় ধরনের সামরিক জবাব না দিলেও স্পষ্ট করেছে যে এই হামলাকে তারা তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম হিসেবে দেখছে। তাদের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে এর জবাব “তীব্র ও ভয়াবহ” হবে।